বিশেষ প্রতিনিধি, ডেইলি ভোরের সকাল।।
এমদাদুল হক,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:-
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শ্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকারের পতন হয়।নানা অনিয়ম আর দূর্নীতির অবসান ঘটে।কিন্তু এখনো কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাদের দৌরাত্ন থামেনি।নানা ভাবে খোলস পাল্টিয়ে আগের রুপেই হরিলুট আর ধান্দাবাজি করে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১ নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আন্জুমান আরা ও স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য বাবু মিলে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসা অর্থ ও সরকারি অনুদানের টাকা পয়সা হরিলুটে করছে।দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের মত পকেট কমিটি করে এই সব দূর্নীতি ও হরিলুট করে আসছে।এলাকাবাসি আরও বলেন ,স্কুলে নানা সময়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ আসে।দূর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেয় এই দুজন।বিদ্যুৎ বিল,ঝাড়ু কেনা,বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে গরীব ঔ অসহায় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসি আরও অভিযোগ করেন,স্কুল কমিটির সদস্য বাবু শ্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকারের হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির মিলন মন্ডলের লোক।সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব ছাত্রছাত্রী আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের লিস্ট করে থানায় দেওয়ার মত অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।বাবু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সে কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।স্কুলের প্রধান শিক্ষক আন্জুমান আরার বিরুদ্ধে অভিবাবকদের সাথে খারাপ আচরণ,ছাত্রছাত্রীদের সাথে খারাপ আরচণ,অর্থ লুটের অংশিদারসহ নানা অভিযোগ করেন এলাকাবাসি।
২০২৩/২৪ অর্থ বছরে স্কুলে রাস্তা ঢালাই বাবদ ২ লক্ষ্য টাকার একটি কাজ আসে।সেই কাজে নানা অনিয়ম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অঘোষিত সভাপতি বাবুর বিরুদ্ধে।সরজমিনে গেলে দেখা যায় স্কুলের রাস্তার কাজের জন্য ২/৩ নাম্বার ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আন্জুমান আরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,কাজ শেষ হয়ে গেছে গত ২ দিন আগে।এলজিইডির থেকে তদারকি করে গিয়েছে।বিষয়টা তারা দেখছে।
স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য বাবুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুটোফোনটি রিসিফ করেননি।
এলজিইডির কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী হাসান বলেন,এলজিডির সহ কোন অফিস ২ নাম্বার বা ৩ নাম্বার ইট বা পিকেট ব্যবহার করার কোন নিয়ম নেই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এই কাজ এলজিইডির।এই কাজের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।